নারী দিবসের দিনে মৃত ছেলের ইচ্ছা পূরন করলেন বাবা মা

8th March 2020 হুগলী
নারী দিবসের দিনে মৃত ছেলের ইচ্ছা পূরন করলেন বাবা মা


গত ১৬ ই নভেম্বর ২০১৭ সালে বৈদ্যবাটি বাসিন্দা ডাঃ সোমক  চৌধুরীর হঠাৎই মৃত্যু হয়। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল সোমক । তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে  পরিবারের। তার  ইচ্ছা ছিল স্থানীয় মানুষদের সেবা করার । তখন তিনি সেই সুযোগ পাইনি।   তাদের একমাত্র সন্তানের মৃত্যুর পর বাবা-মা  সন্তানের ইচ্ছা পূরণ করলেন। বৈদ্যবাটী কেসি  চ্যাটার্জি স্ট্রিটে সোমক চৌধুরী স্মৃতির উদ্দেশ্যে  পৈত্রিক বাসভবনটি প্রদান করলেন মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমকে। রবিবার সেই  বাসভবনটির শুভ উদ্বোধন হলো চিকিৎসা পরিসেবার ।পাশাপাশি রামকৃষ্ণ, সারদা দেবী, স্বামী বিবেকানন্দ  মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় এখানে। মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রম এর কৃতি  ছাত্ররা যারা চিকিৎসা সাথে যুক্ত তারা এখানে এসে সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা দেবে।  আগামী দিনে আরও কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানান রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন প্রধান শশাঙ্ক শেখর মন্ডল।  সোমকের  বাবা-মা বলেন ছেলের ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে  আমরা খুব  খুশি । যদি আমার ছেলে থাকতো তাহলে আরো খুশি হতাম।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।